বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরও লাগবে সহায়তা, কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ফিটকিরি

বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরাপদ, বিশুদ্ধ পানির অভাবে পড়েন মানুষ। অনিরাপদ পানির মাধ্যমে নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে পানি ও খাবারের মাধ্যমে। জীবনধারণের জন্য পানির বিকল্প নেই। তাই ফিটকিরি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠাতে পারেন এসব এলাকায়।

প্রয়োজনীয় ওষুধ

ওরস্যালাইনকে বলা হয় জীবন রক্ষাকারী আবিষ্কার। বন্যাদুর্গত এলাকায় ওরস্যালাইন ছাড়াও কাজে আসতে পারে প্যারাসিটামল। কেটে–ছড়ে গেলে কাজে আসবে গজ, ব্যান্ডেজ। সাহায্য করতে চাইলে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কোন ধরনের ওষুধ বেশি প্রয়োজন হচ্ছে, তা জেনে নিয়ে ওষুধ পাঠাতে পারেন সেই অনুযায়ী।

পরিষ্কারক উপকরণ

সুস্থ থাকতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রয়োজন পরিবেশের পরিচ্ছন্নতাও। বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড়, বাসনকোসন, ঘরের মেঝে, নিত্যব্যবহার্য জিনিস—যা কিছু বন্যার পানির সংস্পর্শে এসেছে, তার সবই জীবাণুমুক্ত করে নিতে হয়। তাই প্রচুর সাবান, ডিটারজেন্ট এবং ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন হয় বন্যাপরবর্তী সময়ে।

নারী ও শিশুর সুস্থতায় জন্য যা কিছু প্রয়োজন

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নারীরা ভীষণ দুর্বিপাকে পড়তে পারেন। শিশুদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। নারীস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের উপযোগী খাবার, শিশুদের দুধের বোতল, পোশাক—এমন নানা কিছুই কাজে লাগতে পারে দুর্গত এলাকার শিশুদের।

বাজার-সদাই

পানি নেমে যাওয়ার পর মানুষ যখন নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করবেন, শুরুতেই হয়তো তাঁরা রান্নার আয়োজন করতে পারবেন না। আশপাশের বাজারে সওদাপাতি না-ও মিলতে পারে। এমন অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পাঠাতে পারেন তাঁদের কাছে। পাঠাতে পারেন চাল-ডালের মতো খাদ্যদ্রব্য, যা সহজে নষ্ট হয় না। গুঁড়া দুধ, মসলা, এসবও প্রয়োজন। তা ছাড়া সেখানকার মানুষের পোষা এবং সব সময়ের সঙ্গী প্রাণীদের খাবারেরও প্রয়োজন হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top